সমুদ্র উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়া উপজেলার প্রত্যন্ত এলাকার গাছপালা ও
ঝোপঝাড়ে এখন আর চোখে পরেনা মৌচাক। এ অঞ্চল থেকে হারিয়ে যেতে
বসেছে মৌমাছি আর মৌচাক। বনে-জঙ্গলে এখন মৌমাছির ভোঁ-ভোঁ শব্দও শুনতে পাওয়া যায় না। আনাড়ি মধু সংগ্রহকারীরা আগুন জ্বালিয়ে মধু সংগ্রহের সাথে সাথে মৌমাছি পুড়িয়ে মেরে ফেলায়সহ প্রাকৃতিক দুর্যোগ ও অবাধে গাছপালা কেটে ফেলায় মৌমাছিদের উপযুক্ত পরিবেশ ক্রমশই হারিয়ে যাচ্ছে। এর ফলে মৌমাছি ও মৌচাক এখন প্রায় বিলপ্তর পথে চলেছে।একাধিক মধু সংগ্রহকারীদের সূত্রে জানা গেছে, দেশে সাধারণত তিন জাতের মৌমাছি দেখা যায়, এর মধ্যে পাহাড়িয়া, খুদে ও খুড়লে। পাহাড়ীয়া মৌমাছিরা সাধারণত বড় বড় গাছের মগডালে, উঁচু পানির ট্যাংকের উপরে ও বড় বড় ঘরের উপরে চাক বাঁধে। খুদে মৌমাছি ছোট ছোট ঝোপঝাড়ে সাধারনত চাক বেঁধে থাকে আর খুড়ুলে মৌমাছি বড় বড় গাছের খোড়লে চাক বাঁধতে পছন্দ করে। মধু সংগ্রহকারীরা এখন
গ্রামগঞ্জে ঘোরাফেরা করেও একটি মৌচাক খুঁজে পাচ্ছেন না। যদিও বা কোথাও পাওয়া যায় তা আকারে অনেক ছোট। তাতে মধুর পরিমাণও খুবই কম থাকছে বলে তাদের কাছ থেকে জানা গেছে। আবসার প্রাপ্ত শিক্ষক জন্মজয় রায় বলেন, মধু মানব জীবনে অনেক উপকারে বস্তু। কিন্তু বাজারে এখন আসল মধু পাওয়াটাই দুস্কর। কালক্রমে দেশ থেকে হারাতে বসেছে মৌমাছি আর মৌচাক।
সাংস্কৃতিক কর্মী মোস্তফা জামান সুজন বলেন, মৌমাছি পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। আজ মৌমাছি ক্রমশই বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে। এগুলো রক্ষা করা প্রয়োজন বলে তিনি মনে করেন। বে-সরকারি উন্নয়ন সংস্থা ওয়ার্ল্ড কনসার্ন বাংলাদেশ’র কলাপাড়া উপজেলা সমন্বয়কারী জেমস্ধসঢ়; রাজিব বিশ্বাস জানান, দফায় দাফায় প্রাকৃতিক দূর্যোগ, অধিক তাপমাত্রা, বসবাসের উপযোগি পরিবেশের অভাব ও ফসলে মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশকের প্রয়োগ,আনাড়ি মধু সংগ্রহকারীদের মৌমাছি
পুড়িয়ে হত্যা করাসহ নানাবিধ কারনে মৌমাছি বিলুপ্ত হয়ে যচ্ছে। এর ফলে
আগের মত মৌচাক দেখা যাচ্ছেনা।
উত্তম কুমার হাওলাদার,কলাপাড়া(পটুয়াখালী)প্রতিনিধি,
পটুয়াখালী,রোববার, ২০ নভেম্বর, এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।