পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের কেউই দেশের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।তিনি আরো বলেন,বঙ্গবন্ধুর খুনিদের বিভিন্ন দূতাবাসে চাকরি দিয়ে পুরস্কৃত করেছিল জিয়াউর রহমান। তিনি খুনি মোশতাকের ডানহাত ছিল বলেও মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী।জাতীয় শোক দিবস উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের আলোচনা সভায় এ মন্তব্য করেন তিনি।
পঁচাত্তরের পর যারা ক্ষমতায় এসেছে তাদের কেউই দেশের কল্যাণে কোনো কাজ করেনি। প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের অব্যাহত প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ এখন সারাবিশ্বে উন্নয়নের রোল মডেল।প্রধানমন্ত্রী বিএনপির উদ্দেশে বলেন, ‘নির্বাচনে বেগম জিয়া যান নেই। এটি তার সিদ্ধান্ত। আমি চেষ্টা করেছিলাম। তাকে ফোন ও করেছিলাম। আমি তাকে বলেছিলাম, আসেন পার্লামেন্টে। আমি বলেছিলাম যে মন্ত্রণালয় চান সেটাই দেবো। কিন্তু তিনি আসলেন না। নির্বাচন করলেন না। বরং নির্বাচন ঠেকানোর নামে জ্বালাও পোড়াও করলেন।’
প্রধানমন্ত্রী আরো বলেনন, ‘পরবর্তী নির্বাচনকে সামনে রেখে বিএনপি নানা টালবাহানা শুরু করেছে। শেখ হাসিনা বলেন, তাঁর সরকার টানা দ্বিতীয় মেয়াদে দেশ পরিচালনার দায়িত্ব পেয়েছে বলেই আজকে দেশে উন্নয়নের ধারাবাহিকতা বজায় রয়েছে। তাই তো সারা বিশ্বে আজকে বাংলাদেশ উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে স্বীকৃতি পেয়েছে।
সাম্প্রতিক বন্যার প্রসঙ্গ উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘আজকে বন্যা হয়েছে। আমরা আগে থেকেই প্রস্তুতি নিয়েছি, একটা মানুষও যেন কষ্ট না পায়। ফসল নষ্ট হয়েছে। বিদেশ থেকে পয়সা দিয়ে আমরা খাদ্যশস্য কিনে নিয়ে আসছি। যেন প্রত্যেকটি মানুষের ঘরে ঘরে আমরা খাদ্য পৌঁছে দিতে পারি। যারা গৃহহারা তাদের ঘরবাড়ি করে দেব। রোগের প্রাদুর্ভাব যেন না দেখা দেয় তার জন্য আগাম আমরা প্রস্তুতি নিয়েছি, ওষুধপত্র কোনো কিছুর যেন অভাব না থাকে। এখন বন্যায় যারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে তারা যেন পুনরায় চাষবাস করতে পারে তার জন্য যা যা করার সব ব্যবস্থা আমরা করে রেখেছি।’
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা এই দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। আজকে জাতির পিতা আমাদের মাঝে নেই। তাঁকে আমাদের কাছ থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে। কিন্তু তাঁর আদর্শ এবং নীতি নিয়েই আমরা এই দেশকে বিশ্ব দরবারে মর্যাদার আসনে অধিষ্ঠিত করতে চাই। বাংলাদেশকে হবে বিশ্বের উন্নত সমৃদ্ধ দেশ। যে স্বপ্ন নিয়ে জাতির পিতা এ দেশকে স্বাধীন করেছিলেন- ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্ত বাংলাদেশ গড়ে তোলা। ইনশাল্লাহ খাদ্যের অভাব এখন নেই। কিন্তু বাংলাদেশ একদিন ক্ষুধামুক্ত, দারিদ্র্যমুক্তভাবে গড়ে উঠবে। এই শোক দিবসে এটাই আমাদের প্রতিজ্ঞা যে এই দেশকে আমরা জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ করব। তবেই তাঁর আত্মা শান্তি পাবে।’
ঢাকা,বুধবার,৩০ আগষ্ট,এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।