সমুদ্র উপকূলীয় পটুয়াখালীর কলাপাড়ায় খেজুর গাছের রস সংগ্রহে ব্যাস্ত সময় কাটাচ্ছে গাছিরা। শীত পড়ার শুরুতেই উপজেলার পেশাদার গাছিরা খেজুর গাছ কাটা শুরু করেছে। ওইসব গাছ থেকে সকাল-বিকাল দুই বেলা রস সংগ্রহ করছেন তারা। প্রতি বছর শীত মৌসুমে এলাকার দরিদ্র শ্রেনীর লোকজন খেজুর রস ও গুর বিক্রি করে আর্থিকভাবে লাভবানও হচ্ছে। কোন পরিচর্যা না থাকা ও গাছ কাটায় পদ্ধতিগত ভুলের
কারনে প্রতি বছর শত শত খেজুর গাছ মারা যাচ্ছে বলে আনেকেই এমন মন্তব্য করেছেন। স্থানীয়দের সূত্রে জানা গেছে, শীতের সকালে তাজা খেজুর রসের সুমিষ্ট
স্বাদে জিবা ভেজাতে গাছের তলায় ভীড় জমানো মনে পড়তেই এখন রুপ কথার গল্পই মনে হয়। মানুষ ইটভাটার জ¦ালানিসহ বিভিন্ন কাজে যেভাবে খেজুরগাছ কেটে বিনাশ করছে তাতে গ্রাম বাংলার খেজুর রসের ঐতিহ্য হয়তোবা হারিয়ে যাবে। এছাড়া শীত মৌসুমে গ্রামীন জনপদে খেজুর রসের পিঠা ও পায়েস তৈরির প্রচলন থাকলেও কালের বিবর্তনে তা ক্রমশ বিলুপ্ত হতে বসেছে। কিছু কিছু এলাকায় খেজুর গাছ থাকলেও বছরে একবার তা থেকে রস সংগ্রহ করা হয়। মোতালেব আকন নিজের জমিতে প্রাকৃতিক ভাবে জন্মানো খেজুর গাছ থেকে রস সংগ্রহ করছে। এসময় তার সাথে আলাপ করলে তিনি বলেন, এ বছর শীত শুরু হওয়ার সাথে সাথে প্রায় ২৫ টি খেজুর গাছ কেটেছি। এ থেকে প্রতিদিন ২/৩ কলস রস সংগ্রহ করি। তা স্থানীয় বাজারে বিক্রি করে ৪/৫’শ
টাকা আয় হয়। মহিপুর রেঞ্জের রেঞ্জ অফিসার অলহাজ্ব হারুন অর রশিদ জানান, অধিকাংশ খেজুর গাছ গ্রামের রাস্তার পাশে জন্ম হয়। প্রাকৃতিক উপয়ে জন্মানো
এ খেজুর গাছের রস খুবই সুস্বাধু। তবে এর কোন পরিসংখন নেই। এ গাছটি রোপনের প্রতি লোকজনের তেমন কোন আগ্রহ নাই বলে তিনি জানিয়েছেন।
উত্তম কুমার হাওলাদার কলাপাড়া (পটুয়াখালী)প্রতিনিধি
পটুয়াখালী,বৃহস্পতিবার,২১ ডিসেম্বর, এইচ বি নিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম।